Monday, 24 October 2016

About Pabna

৩৬ তম ভাইভা প্রস্তুতি।
মুক্তিযুদ্ধ ও আমার জেলা পাবনা।
(আপনারাও একই আঙ্গিকে নিজের জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে প্রস্তুতি নিতে পারেন)
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ শুক্রবার সকাল থেকে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী পৈশাচিক আক্রমন শুরু করল পাবনার সাধারণ মানুষের উপর।পরিষদের নেতৃবৃন্দের সহিত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকবাহিনীকে মোকাবেলা করার শপথ গ্রহণ করেন পাবনার তৎকালীন জেলা প্রশাসক নুরুল কাদের খান।
১৯৭১ সালের ২৮শে মার্চ ভোর রাত্রে পাকহানাদার বাহিনী পাবনা পুলিশ লাইন আক্রমন করে। পাবনার অকুতভয় পুলিশ বাহিনী জীবন বাজী রেখে পাকহানাদার বাহিনীর আক্রমন প্রতিহত করে।
পাবনা প্রতিরোধযুদ্ধ সংগঠিত হয় ১৭টি স্থানে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য পাবনা পুলিশ লাইন, টেলিফোন একচেঞ্জ, ময়লাগাড়ী, সার্কেট হাউস সংলগ্ন কাঠের ব্রীজ, বিসিক, মাধপুর বটতলা, ঈশ্বরদী বিমান বন্দর, দাশুড়িয়া তেতুল তলা, মূলাডুলি, মালিগাছা উল্লেখযোগ্য। ২৫শে মার্চ রাত্রিতে পাবনায় পাঠানো প্রায় ১৫০জন পাক হানাদার বাহিনীর সকলেই নিহত হয়। ১৩ দিন পাবনা মুক্ত ছিল।
১৩ দিন পাবনা মুক্ত থাকার পর পুনরায় ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাকহানাদার বাহিনী পুনরায পাবনায় ঢোকার মুখে নগরবাড়ী ঘাটে অবস্থান নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্র জনতার উপর জলে স্থলে ও আকাশ থেকে আক্রমন চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা টিকতে না পেরে পিছু হটে আশে পাবনায়। কিছু মুক্তিযোদ্ধা পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার ডাব বাগান নামক স্থানে অবস্থান নেয়। সেখানে পাকহানাদার বাহিনীর সহিত তুমূল যুদ্ধে অনেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়। পাকহানাদার বাহিনীর ১৩ জন সদস্য নিহত হয়। ঐ যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে ঐ স্থানের নামকরণ করা হয়েছে শহীদনগর।
ঈশ্বরদী থানা
পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার উল্লেখযোগ্য যুদ্ধস্থান জয়নগর ও ঈশ্বরদী বিমান বন্দর। এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন কোম্পানী কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম মন্টু, সদরুল হক সুধা, আজমল হক বিশ্বাস, নুরুজ্জামান বিশ্বাস, শামছুর রহমান শরিফ ডিলু প্রমুখ।
আটঘরিয়াথানা
পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার বংশীপাড়া নামক স্থানে পাকহানাদার বাহিনীর সহিত সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধ আটঘরিয়া থানার মধ্যে সর্ববৃহৎ লড়াই বা উল্লেখযোগ্য। এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন বিএলএফ কমান্ডার আনোয়ার হোসেন রেনু, এফএফ কমান্ডার ওয়াসেফ আলী, আশরাফ আলী, জহুরুল হক প্রমূখ।
চাটমোহর থানা
পাবনা জেলার চাটমোহর থানার উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ সংগঠতি হয় চাটমোহর থানা দখলের যুদ্ধে। এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন মোজাম্মেল হক ময়েজ, এস.এম মোজাহারুল ইসলাম, চঞ্চল প্রমূখ।
ভাঙ্গুড়া থানা
পাবনা জেলার বর্তমান ভাঙ্গুড়া থানার বড়াল ব্রীজ নামক স্থানে ও দিলপাশার নামক স্থানে উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার হান্নান সাহেব, আসলাম, মকছেদুর রহমান প্রমূখ।
In 1971, Pabna district police was the first to protest against the Pakistan occupation Army. A total of 34 members of Pabna district police sacrificed their lives in their fight against Pak army in 1971.
পাবনা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বুকলের নাম। পাবনা জেলার সকল এলাকার যুদ্ধকালীন কমান্ডারদের সমন্বয়কারী, যুদ্ধের পরিকল্পনাকারী ও সর্বপোরী পাবনার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে পাবনার মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক রফিকুল ইসলাম বকুলকে শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করি।
১৫ই ডিসেম্বর পাবনা শত্রু মুক্ত হয

No comments:

Post a Comment