Wednesday, 16 November 2016

৩৬তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি ==============


বাংলাদেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব কী হতে পারে?
--------------------- এই প্রশ্নটা করাটায় স্বাভাবিক ।---------
উত্তরে সহায়ক
.
এটা নিয়ে নির্বাচনের আগে থেকেই খুব গবেষণা হচ্ছে।
★ ট্রাম্প কে নিয়ে বিশ্বে অত আলোচনা হওয়ার কারন একটাই। ট্রাম্প আসলে বিশ্ব রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে সেজন্য না। বরং, তার নিজের দেশের উপর কোন বিরূপ প্রভাব পড়বে কিনা, সে জন্য । আসলে বিশ্বকে নিয়ে কেউ চিন্তিত না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই হচ্ছে ? আর, এক্ষেত্রে বাংলাদেশেও দুইটা দিক বেশি গুরুত্ব পেয়ে আসছে- রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক।
★ রাজনৈতিক দিক-
এক্ষেত্রে- বাংলাদেশের উপর সরাসরি কোন রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে না। কারন আমেরিকা শুধু বাংলাদেশের সাথেই ডিল করেনা, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী বা কোন শক্তিশালী দেশও না। সো, বাংলাদেশের উপর প্রভাব পড়লে সেটা বাংলাদেশের দুর্বলতার জন্যই পড়বে ( রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা)।
> হিলারি আসলে হয়তো কিছুটা প্রভাব পড়লে পড়তেও পারতো। কারন, সে বাংলাদেশে এসে ইউনূস এবং রাজনৈতিক ব্যাপারে কোন পাত্তা পায়নি। তাই হিলারি আসলে হয়তো ইউনূস আবার দেশে আসতো এবং রাজনীতিতে তার আগমত ঘটতে পারতো। এখন সেটা আর হবে না।
★ অর্থনৈতিক দিক-
> অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করলে পজিটিভ, নেগেটিভ দুইটারই সম্ভাবনা আছে।
> নেগেটিভ
নেগেটিভ দিক এবং বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে তার প্রস্তাবিত অভিবাসন নীতি। ট্রাম্প গত অগাস্টের শেষ/ সেপ্টেম্বর এর শুরু, কোন এক সময় এ্যারিজোনার ফিনিক্সে তার বক্তৃতায়, মেক্সিকোর সীমান্তে ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার লম্বা দেয়াল নির্মানের প্রতিশ্রতি, বিশেষ বাহিনী গঠণ করে অবৈধ অভিবাসিদের বহিস্করণরসহ অভিবাসন বিষয়ে তার ১০-দফা পরিকল্পনা স্পষ্ট করেন। এটা বাস্তবায়ন হলে শুধু মেক্সিকোর জন্যই প্রযোজ্য হবে না, বাংলাদেশও প্রভাব পড়বে। কারন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীর সংখ্যা প্রায় ৫,০০,০০০ তার মধ্যে নিবন্ধিত মাত্র ৫৮,০০০। সো, তার এই নীতি কার্যকর হলে বাংলাদেশের অর্থীতির উপর বিরাট প্রভাব পড়বে। রেমিট্যান্স তো কমবেই সাথে দেশে বিরাট একটা বেকার জনগোষ্ঠীর প্রবেশ ঘটবে। কারন তারা সেখানে যেসব কাজ করতো বাংলাদেশ সরকার তাদের সেটা নিশ্চিত করতে পারবে না।
★ ট্রাম্প একজন সফল ব্যবসায়ী, সে সব সময় লাভের চিন্তা করে অভ্যস্ত। সে হয়তো ওবামার মত কম্প্রোমাইজ নাও করতে পারে। কারন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে বেকারত্বের হার প্রায় ৬%। আর ট্রাম্প এই অভিবাসি নীতির মাধ্যমে তার সমাধান কররতে চাচ্ছে। সো, এটা কিছুটা হলেো বাস্তবায়ন হবে। তানাহলে নেগেটিভ প্রভাব বাংলাদেশে হয়তো পড়বে না।
তাই বাংলাদেশের এখনই এই বিষয়ে ডিপ্লোম্যাটিক কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা খুঁজে বের করা উচিত।
★ পজিটিভ প্রভাব-
অলরেডি আমাদের স্কলাররা বলা শুরু করেছেন যে, ট্রাম্প আসলে বাংলাদেশের জন্য মন্দ হবে না। তখন জিএসপি বিষয়টা নিয়ে হয়তো আবার আরোচনা শুরু করা যাবে। কারন ওবামা সরকার বিষয়টাকে ব্যবসায়িক দিকের চেয়ে পলিটিক্যাল টুল হিসেবে বেশি ব্যবহার করে আসছিল।
★ ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চীনের সাথে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাটা পড়বে, এটা খুব ভালই বুঝা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ যদি ডিপ্লোম্যাটিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে কনভিন্স করতে পারে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বাজার বৃদ্ধি পাওয়ার একটা চান্স পাবে।
> তাছাড়া চীনকে ট্যাগেল দেওয়ার জন্য ট্রম্প হয়তো ওবামার নীতিতেই ঠিক থাকবেন। মানে ভারতকে চীনের সাথে টক্কর দেওয়ার মত শক্তিশালী করা। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র ভারতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করছে তা অব্যাহত থাকবে। (তবে, ভারতের মনে হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আর স্থায়ী আসন পাওয়া হলো না।) বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যালেন্স করার নীতিটাকে কাজে লাগাতে পারলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করাতে পারবে।
★ অন্যান্য প্রভাব-
ট্রাম্প যদি তার সকল পূর্ব পরিকল্পনা (মুসলিম প্রবেশ নিষেধ, মধ্যপ্রাচ্য নীতি, সহ অন্যান্য) বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হয় তাহলে বিশ্বে এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে। আর, ছোট হোক আর বড়ই হোক বাংলাদেশ বিশ্বের বাহিরের কিছু না।
এটা ঠিক ট্রাম্প এতদিন যা বলে আসছে তা বাস্তবায়ন করতে পারবে না, তার পরেও কিছুই যে হবে না তাও না।
> গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প- ওবামা মিটিং হয়েছে। মিটিং এর আগে ওবামা খুবই খারাপ, আইএস এর প্রতিষ্ঠাতা, যুক্তরাষ্ট্রে বেকার সমস্যার মূল। মিটিং এর পরে ওবামার মত একজন প্রেসিডেন্ট পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র স্বার্থক, খুবই ভাল মানুষ, তার সাথে কথা বলতে পেরে গর্বিত, তার কাছ থেকে প্রয়োজনে পরামর্শ নিবেন।
মানে কী? কথার মধ্যে তো কোন মিল নাই? প্রকৃত কথা হচ্ছে ট্রাম্প এতদিন যা বলে আসছে তা কিভাবে বাস্তবায়ন করবেন তার কোন পরিকল্পনাই তার নাই। এতদিন তার টার্গেট ছিল নির্বাচন। এখন আর নির্বাচনের চিন্তা নাই। তাই তার শাসন শুরু হওয়ার আগে কার উপর কেমন প্রভাব পরবে সেটা বলা মুসকিল।
> তবে, এটা বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের পলিসি গুলো বাংলাদেশের মত সরকার পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয় না। এটার একটা ধারাবাহিকতা সব সরকারে সময়ই থাকে। হয়তো ভবিষ্যতে এগুলোর বাস্তবায়ন ভিন্ন ভাবে হবে এবং পররাষ্ট্রনীতিতে ট্রম্পের প্রভাব থাকবে। তবে, বলা আর বাস্তবায়ন এক বিষয় না।
আর যা বলেছে তার সব যে বাস্তবায়ন হবে না তার প্রথম প্রমাণ হচ্ছে সে নির্বাচিত হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তার ওয়েবসাইট, ফেসবুক এবং টুইটার থেকে মুসলিম বিদ্বেষী প্রচারণা উধাও!
> তাছাড়া বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ২০ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। যেহেতু ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী সেহেতু আশা করা যায় সে তার পলিসি গুলো অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় বাস্তবায়ন করবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে কোন বিরূপ প্রভাব পড়ার কথা না। কারন বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না।

================
==============
# পররাষ্ট্র ভাইভায় একটি প্রশ্ন প্রায়ই করা হয় >> একজন ডিপ্লমেট হিসেবে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে কিভাবে অন্য দেশকে আকৃষ্ট করবেন ? (
=====
উত্তরে সহায়ক কিছু তথ্য
.,.......................
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বের দাবিদার। ৭% অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮% এ নিয়ে যেতে হলে বৈদেশিক বিনিয়োগ খুবই গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছে।
.
কেন বাংলাদেশ?
.
১। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি $১৪০ বিলিয়ন, যা IMF-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে হবে $৩২২ বিলিয়ন।
২। শিক্ষিত জনগণের ৫৭% হল ২৫ বছর বয়সী।
৩। উচ্চ শিক্ষার হার হল ৭২% যাদের বয়স ১৫-২৪ এর মধ্যে।
৪। কৌশলগত অবস্থান, আঞ্চলিক যোগাযোগ, বৈশ্বিক প্রবেশাধিকার রয়েছে বাংলাদেশের।
৫। ইন্ডিয়া, চীন, এবং আসিয়ান মার্কেট এর পাশে অবস্থিত
৬। South Asian Trade Area (SAFTA) কার্যকর হয়েছে।
৭। বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীরা ইন্ডিয়া, জাপান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং অন্যান্য উন্নত দেশে শুল্ক মুক্ত প্রবেশাধিকার পায়।
৮। বিদ্যুৎ এর দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।
৯। বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, জাপান, এবং বাংলাদেশ ৬০% RMG Share পায়।
.
.
কেন বাংলাদেশে বিনিয়োগঃ
.
১। Policy Reform অনেকাংশে বিনিয়োগ এর জন্য সহজ করা হয়েছে।
২। বাংলাদেশ ইন্ডিয়া এবং চায়নার সাথে রেলযোগাযোগ তৈরি করছে।
৩। বাংলাদেশে প্রায় ১৬০ মিলিয়ন জনগনের বাজার রয়েছে।
৪। ৩ বিলিয়ন জনগণ আঞ্চলিক বাজার এ প্রবেশ করতে পারে, South-East Asia তে BIMSTEC এর মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারে।
৫। Country Credit Ratings- এ Moody's Investor's বাংলাদেশ কে BA3 হিসেবে বিবেচনা কত্রে। Standard and Poor BB- হিসেবে ৬ বছর এর জন্য।
৬। East Asian বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ কে Springboard হিসেবে Utilize করতে পারে।
৭। বাংলাদেশ ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্ধারণ করা হয়েছে।
.
তথ্যসূত্রঃ ARAB NEWS- Saudi Arabia, (Bangladesh: Next Rising star in South Asia for Investment,26

No comments:

Post a Comment