Tuesday, 15 November 2016

৩৬তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি ======

৩৬তম বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি
======
# পররাষ্ট্র ভাইভায় কাশ্মীর ইস্যু থেকে প্রশ্ন করা হয় ।
.
কাশ্মীর সমস্যা জানতে পড়ুন
.==========================
“রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়”-
(কাশ্মীর বাস্তবতা)
-------------------------------------------------------------------------
“যুদ্ধই জীবন, যুদ্ধই সার্বজনীন”--- হিটলার।
“এককালীন শান্তি সম্ভব নয়, সঙ্গতও নয়।“----মুসোলিনি।
হিটলার আর মুসোলিনির এই উক্তি দুটির বাস্তব প্রতিফলন যেন ঘটছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যুটি নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাপে-নেউলে মনোভাবটি ফুলে ফেপে উঠছে। আর কাশ্মীর সমস্যাটি যেন দুই দেশের শত্রুতামূলক মনোভাবের জন্য কেরোসিনের যোগান দিচ্ছে। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে কাশ্মীরের উড়ির সেনা ঘাটিতে বৈরী হামলায় ভারতীয় সেনা বাহিনীর ১৭ জন সৈনিক নিহত হন। মারাত্মকভাবে আহত হন কমপক্ষে আরও ২০ জন। অন্যদিকে একই বছর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কাশ্মীরি নেতা ‘বুরহান ওয়ানি’ নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদ
ের সাথে সংঘর্ষে ৮৫ জন কাশ্মীরি হত্যার শিকার হয় এবং সেই সাথে ১১ বছর বয়সের স্কুল ছাত্র ‘সাফিকে’ ভারতীয় বাহিনী গুলি করে হত্যা করে। ফলে অনেকে ধারণা করে থাকেন কাশ্মীরি হত্যার প্রতিশোধ নিতেই উড়ির সেনা হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই দিকে ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানের দিকে আঙুল তোলে এবং পাকিস্তানপন্থী কাশ্মীরি জঙ্গি সংগঠন ‘জেইশ-ই-মোহাম্মদ’ কে দায়ী করেছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে।
‘ভূ-স্বর্গ’ হিসেবে পরিচিত ৮৫৮০৬ বর্গমাইলের অঞ্চল- জম্মু,কাশ্মির উপত্যকা এবং লাদাখ এ তিনটি অঞ্চল নিয়ে জম্মু-কাশ্মির রাজ্যটি গঠিত হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। জম্মু অঞ্চলে অনেক মন্দির থাকায় এটি হিন্দুদের নিকট পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। লাদাখ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। ২৬ অক্টোবর ১৯৪৭ সালে এটি ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত হয়। বর্তমানে ৩ বিভাগে ২২ টি জেলা নিয়ে এটি গঠিত। কাশ্মীরের সরকারী ভাষা ‘উর্দু’। রাজ্যটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১,২৫,৪৮,৯২৬ জন। এই রাজ্যটির উত্তর-পশ্চিমে ‘লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল’,উত্তর-পূর্বে গণচীন, দক্ষিণে ভারতের হিমাচল ও পাঞ্জাব প্রদেশটি অবস্থিত। রাজ্যটির জনগণের শিক্ষার হার ৬৬.৭%।সমগ্র কাশ্মীর অঞ্চলটি ভারত, পাকিস্তান ও চীন এই তিন দেশের অধীনেই রয়েছে। ২০১০ সালের হিসেব অনুযায়ী- ভারতের অংশটুকু “জম্মু-কাশ্মির” নামে পরিচিত যা মোট কাশ্মীরি ভূমির ৪৩%, পাকিস্তানের অংশটুকু “আজাদ কাশ্মীর” নামে পরিচিত যা মোট কাশ্মীরি ভূমির ৩৭% এবং চায়নার অংশটুকু “আকসাই চীন”(ভারত “আকসাই চীন” তাদের নিজেদের বলে দাবি করে আসছে) নামে পরিচিত যা মোট কাশ্মীরি ভূমির ২০%। সাম্প্রতিক কালের সমস্যা গুলো মূলত আজাদ কাশ্মীর বা আকসাই চীন নিয়ে নয় বরং এটা ভারতের দখলে থাকা ‘জম্মু-কাশ্মির’ নিয়ে সমস্যা।
৬ষ্ঠ শতাব্দীতে ভারতে আসা চীনা পরিব্রাজক ‘ফা-হিয়েন’ বলেন-“কাশ্মিরের অস্তিত্ব প্রথম শতাব্দী থেকেই”। পূর্বে হিন্দু রাজা এবং পরে মুসলিম সুলতানদের অধীনে থাকা ‘জম্মু-কাশ্মির’ অঞ্চলটি মুঘল সম্রাট আকবরের অধীনে আসে। ১৭৫৬ সাল থেকে আফগান শাসনের পর ১৮১৯ সালে এই রাজ্যটি পাঞ্জাবের শিখ রাজত্বের অধীনে আসে। পরে ১৮৪৬ সালে ‘রঞ্জিত সিং’ জম্মু অঞ্চলটিকে মহারাজা ‘গুলাব সিং’ এর নিকট হস্তান্তর করেন। সেই সাথে একটি বছর ‘অমৃতসর চুক্তির’ দ্বারা কাশ্মীরও মহারাজা গুলাব সিং এর অধীনে চলে আসে। ১৯২৫ সালে ‘হরি সিং’ কাশ্মীরের রাজা হন এবং তিনি ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ পর্যন্ত কাশ্মীরের শাসক ছিলেন। ১৯৩৯ সালে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাঁর ‘দ্বিজাতি তত্ত্ব’ প্রদান করেন। এরই ভিত্তিতে উপমহাদেশের সর্বশেষ ব্রিটিশ লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন এর মধ্যস্থতায় ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট ভারত নামে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়। লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ছিলেন জওহর লাল নেহেরুর বন্ধু এবং তিনি আলী জিন্নাহর প্রতি কিছুটা বিরক্ত ছিলেন। ফলে মাউন্ট ব্যাটেন ভারতের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব প্রদর্শন করেন।
ঔপনিবেশিক শাসনের পর উপমাহাদেশ যখন সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান এ দুটো আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে তখন দেশীয় রাজ্য গুলোর ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন দিক নির্দেশনা ছিল না। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা আইন (The Act of Independence of India;1947)এর ৭ নম্বর সেকশন অনুযায়ী দেশীয় রাজ্য (Princely State) জম্মু-কাশ্মির পাকিস্তানের হওয়ার কথা কারন সেখানকার অধিবাসীদের শতকরা ৭৫ ভাগের ও অধিক মুসুলমান ছিল। অন্যদিকে রাজা হরি সিং অত্যাচারী ছিলেন বিধায় তাঁর বিরুদ্ধে এ প্রবল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ রুষ্ট ছিল। এ ছাড়াও চতুর্দিকে স্থলবেষ্টিত (Land Lock) ভৌগোলিক অবস্থানের কারনেও কাশ্মীর আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে সক্ষম কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ দেখা দিলে পাকিস্তানের সাথে যোগদানই ছিল কাশ্মীর এর জন্য অধিক যুক্তিযুক্ত। কিন্তু হরি সিং জনগনের ইচ্ছাকে প্রাধান্য না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে। ফলে কাশ্মীরি জনগন হরি সিং এর আচরণ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করতে থাকে। এমতাবস্থায় হরি সিং ছলনার আশ্রয় নিয়ে পাকিস্তানের সাথে “অবিচল থাকা সংক্রান্ত”(Standstill Agreement) এক চুক্তি সাক্ষর করলেও গোপনে ভারতের সাথে যোগদানের ব্যাপারে প্রস্তুতি চালাতে থাকেন। কাশ্মিরের মুসুলমানেরা এটা আঁচ করতে পেরে তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত বিদ্রোহ শুরু করে দেন। কাশ্মীরি মুসলিমদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন পাকিস্তানের উপজাতিয় সম্প্রদায়ের জনগণ। এটাকে হরি সিং পাকিস্তান সরকারের কারসাজি বলে চালিয়ে ১৯৪৭ সনের ২৪ শে অক্টোবর ভারত সরকারের সাথে “সংযুক্তি সংক্রান্ত চুক্তি”(Instrum
ent of Accession) সাক্ষর করেন।চুক্তি সাক্ষর হওয়ার পর ভারতীয় সেনারা কাশ্মিরে প্রবেশ করে এবং পাকিস্তানের অনুপ্রবেশ কারীদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ফলে বেধে যায় ভারত-পাকিস্তান ভয়ানক যুদ্ধ।
উপমাহাদেশের শান্তি বিঘ্নকারী এ বিষয়টি যখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচিত হয় তখন “পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট” একটি কমিটি গঠন করা হয় যার উপর শান্তি ফিরিয়ে আনা ও ভারত-পাকিস্তান উভয় সরকারের সহযোগিতায় কাশ্মিরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য গণভোট (Plebiscite) অনুষ্ঠানের দায়িত্ব অর্পিত হয়। উক্ত কমিটি “লাইন অব কন্ট্রোল” নির্ধারণের মাধ্যমে ১৯৪৯ সালের ১ লা জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে। কিন্ত ভারত এ গণভোটের বিপক্ষে অবস্থান নেয় এবং যুদ্ধের মাধ্যমে দখলকৃত কাশ্মীর নিজ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে আত্মিকরন সম্পূর্ণ করে। ফলে গণভোট আর সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি।
কাশ্মীর ইস্যুটি নিয়ে পুনরায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬৫ সালে ১৭ দিনের ‘পাক-ভারত’ যুদ্ধ হয় (যা তাসখন্দ চুক্তির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়), ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধ হয়( কার্গিল কাশ্মীরের একটি জেলা)। এ ছাড়াও ১৯৮৫ সালের পর থেকে ‘সিয়াচেন হিমবাহ’ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কয়েকটি খণ্ড যুদ্ধ হয়েছে।
কাশ্মীর অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত সরকার,কাশ্মিরি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে প্রধান আঞ্চলিক বিরোধ। কাশ্মীরি বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং ভারত সরকারের মধ্যে বিরোধের মূল বিষয়টি হল ‘স্বায়ত্তশাসন’। কাশ্মীরের গনতান্রিক উন্নয়ন সীমিত ছিল ১৯৭০ সালের সেশভাগ পর্যন্ত।১৯৮৮ সালে ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বহু গণতান্রিক সংস্কার বাতিল হওয়ায় অহিংস পথে অসন্তোষ জ্ঞাপনের সুযোগ না থাকায় বিদ্রোহীরা হিংসাত্মক আন্দোলনের দিকে ধাবিত হতে থাকে। নিম্নোক্ত কারণে পাকিস্তান এবং ভারত দুই দেশই কাশ্মীরকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেঃ-
১।সিন্ধু নদ তিব্বতের মানস সরোবর থেকে উত্তরে “সিন-কা-বাব” জলধারা থেকে উৎপন্ন হয়ে কাশ্মিরে প্রবেশ করেছে। পরে নদটি কাশ্মীর হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। পাকিস্তানের অর্থনীতিতে সিন্ধু নদের ভূমিকা অনন্য সাধারণ। অন্যদিকে সিন্ধু নদের উপনদী- শতলজ,বিয়াম,রাভি
,চন্দ্রভাগা,ঝিলাম প্রভৃতি নদী গুলো ভারতে প্রবেশ করেছে। শতলজ নদীর উপর নির্মিত “ভাকরা-নাঙ্গাল” সেচ ও বিদ্যুৎ প্রকল্প ভারতের পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশে শস্য উৎপাদনে বিরাট পরিবর্তন এনেছে। যেহেতু জম্মু-কাশ্মির রাজ্যটি ভারতের তাই ভারত সবসময় সিন্ধু নদের গতিরোধ করার হুমকি দিয়ে থাকে পাকিস্তান কে। তাই পাকিস্তান কাশ্মীর দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে তাঁর জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করে।
২।যুদ্ধক্ষেত্র অনুযায়ী উঁচু স্থান দখল করলে জয়ের সম্ভাবনা বেশি। কারণ পর্বতের বা উঁচুতেঁ আরোহণকারী সৈন্য নিচুতে অবস্থানকারী সৈন্য থেকে বেশি সুবিধা পাবে। তাই কাশ্মীরের সিয়াচেন হিমবাহ যুদ্ধক্ষেত্রে যেখানে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৮৪ সনের ১৩ এপ্রিল থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে।দুই দেশই বর্তমানে সিয়াচেন হিমবাতে ৬০০০ মিটার উচ্চতায় স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে। কারণ সিয়াচেন হিমবাহ থেকে ভারত বা পাকিস্তান উভয় দেশকেই খুব সহজেই আক্রমণ করা যাবে এবং জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তাই শত্রুতামূলক মনোভাব এবং সিয়াচেন হিমবাহ এর কৌশলগত অবস্থানের কারনে উভয় দেশই কাশ্মীর দখল রাখতে চায়।
৩।জম্মু-কাশ্মির রাজ্যটির মাধ্যমে ভারত মধ্য এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ রাখতে পারে। তাই অভিন্ন শত্রু হিসেবে ভারতকে পাকিস্তান এবং চীন চাপে রাখতে চায় কাশ্মীর এর দখল নিয়ে। (১৯৬২ সালের ইন্ডিয়া-চায়না যুদ্ধে চায়না কাশ্মীর থেকে ‘আকসাই চীন’ দখল করে নেয় সেই সাথে এই যুদ্ধের মাধ্যমে চীন ভারতের সেভেন সিস্টার্স এর অন্তর্গত ‘অরুণাচল প্রদেশটিকেও’ দখল করে নেয়, পরে চীন আন্তর্জাতিক চাপে বাধ্য হয়ে অরুনাচলকে ভারতের নিকট ফেরত দেয়।)
৪।ভারত যদি কাশ্মীর রাজ্যটিকে ধর্মের ভিত্তিতে স্বাধীনতা দিয়ে দেয় তাহলে ধর্ম নিরপেক্ষ ভারত রাষ্ট্রটি হুমকির মুখে পড়বে।কারণ অন্যান্য রাজ্য গুলোও স্বাধীনতা চাইবে। যেমনঃ জুনাগড়, হায়দারাবার মুসলিম অধ্যুষিত। তারাও স্বাধীনতা চাইতে পারে।তাই ভারত কাশ্মীরকে ছাড়তে চাইবে না।
৫। জম্মু-কাশ্মিরের উল্লেখযোগ্য নদী চন্দ্রভাগা,ঝিলাম,শূরা,নুবরা,শায়ক ইত্যাদি নদী গুলো ভারতকে একধাপ এগিয়ে দিয়েছে। ফলে ভারতও চাইবেনা কাশ্মিরকে হাতছাড়া করতে।
৬।ঐতিহাসিক শত্রুতামূলক আচরনের কারনেও দুই দেশ জয়ী হওয়ার বাসনায় যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং নিজেদের আধিপত্য জাহির করতে চায়।
৭।পাকিস্তান এবং চায়না উভয়েই বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সহজ যোগাযোগ চায়। তাই কাশ্মীর যদি পাকিস্তানের অধীনে চলে আসে তাহলে সে খুব সহজেই চায়নার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে, যা উভয় দেশের পরিবহন খরচ অনেকটা কমিয়ে দিবে।(যদিও আজাদ কাশ্মীরের মাধ্যমে পাকিস্তান চায়নার সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।)
২০০১ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে ভারতীয় সরকার তাঁর সেনাবাহিনী কে কাশ্মীরের পাঠালে সেখানে ৬০০০০ মানুষ নিহত হয় যার বেশিরভাগ-ই বেসামরিক নিরীহ জনগণ যারা ভারতীয় সৈন্যদের রোষাগ্নির শিকার। এই সকল হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কাশ্মীরি জনগণ সোচ্চার হয়ে উঠে। পাকিস্তান এই সুযোগে কাশ্মীরি জঙ্গিদের অস্ত্র সহায়তা দিয়ে থাকে। অন্যদিকে ভারতও স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে দমন নীতি প্রয়োগ করে থাকে। যদিও ভারত তাদের সংবিধানের ৩৭০ নং ধারা(ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মির একটি বিশেষ অঞ্চল।কারণ প্রতিরক্ষা,পররাষ্ট্রবা যোগাযোগের মতো কয়েকটি বিষয় ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে সেখানে ভারতের কোন আইন প্রয়োগ করতে গেলে রাজ্য সরকারের সম্মতিও জরুরি।নাগরিকত্ব,সম্পত্তির মালিকানা বা মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে তারা একটু বাড়তি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে।) অনুযায়ী বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। কিন্ত বাস্তবে এই ধারার প্রতিফলন ঘটেনি। ফলে উর্দু ভাষাভাষী কাশ্মীরি জনগণ পাকিস্তানের দিকে এগিয়ে চলছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর যুদ্ধকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। এটা সেনা শাসনের আলামত কিনা তা ভেবে দেখার বিষয়। কারণ ১৯৯৯ সালে কাশ্মীরের কার্গিল যুদ্ধকে কাজে লাগিয়ে তৎকালীন সেনা প্রধান পারভেজ মোশারফ জনসমর্থন লাভ করেন এবং নির্লজ্জের মতো পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির ক্ষমতা দখল করেন।
ইতিহাস সাক্ষী দেয় ভালবাসার মাধ্যমে বিশ্ব জয় করা যায়। অন্যদিকে দমন নীতি শুধু বিভাজন বাড়ায়। দমন নীতি আর শোষণ যদি সমাধান হতো তাহলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি তৈরি হতো না, হতো না ভারত বা পাকিস্তান। যদি ভারত তাঁর অখণ্ডতা বজায় রাখতে চায় তাহলে তাকে ৩৭০ নং ধারাটির বাস্তবায়ন করতেই হবে।তাহলেই কাশ্মীর সংকট সমাধান সম্ভব।আমরা শান্তি প্রিয় পৃথিবী চাই। যেখানে হিমালয়ের চূড়ার ন্যায় কিছু শান্তি প্রিয় বড় মনের মানুষ থাকবেন যারা মানবতার কথা চিন্তা করে এই রাজনৈতিক সংকটকে রাজনৈতিক ভাবেই সমাধান করবেন। কেননা মন্দিরের প্রার্থনা যেইখানে যায়, মসজিদের প্রার্থনাও সেইখানেই যায়, হয়তো ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে। তাই মানবতার সেবাই হোক আমাদের প্রাণের স্পন্দন।
“শুভ কামনা রইল কাশ্মীরি জনগণের জন্য”

ভাইভাতে প্রশ্ন করা হয় ৭ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস‘ না বিপ্লবী সংহতি দিবস ?
,
৭ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস‘ - এর পক্ষে যুক্তি
========================
৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস। তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের নামে ১৯৭৫ সালের এদিন থেকে শুরু হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের হত্যার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
.
১৯৭৫ সালের পনের আগস্টের কালরাত্রিতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ঘাতকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি জেলখানার অভ্যন্তরে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এর মাত্র চারদিন পরই সাতই নভেম্বর থেকে শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকান্ড।
.
১৯৭৫ সালের এদিনে তথাকতিত সিপাহী বিপ্লবের নামে প্রথমে হত্যা করা হয় তিন খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধাকে।
এরা হলেন-
খালেদ মোশাররফ বীরউত্তম,
কে এন হুদা বীরউত্তম এবং
এ টি এম হায়দার বীরবিক্রম।
দশম বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদর দপ্তরে অবস্থানকালে সকালে তাদের একেবারে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে দুজন কোম্পনি কমান্ডার আসাদ এবং জলিল।
.
সাংবাদিক অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহ্যাস এ ব্যাপারে তার গ্রন্থে লিখেছেন ‘এ ছাড়াও এদিন উচ্ছৃংখল জওয়ানরা একজন মহিলা ডাক্তারসহ ১৩ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এমনকি একজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রীকেও এ সময় হত্যা করা হয়।’
.
লেখক গবেষক গোলাম মুরশিদ তার ‘মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর’ গ্রন্থে লিখেছেন কর্নেল শাফায়াত জামিল বিদ্রোহের খবর পেয়েও থেকে গিয়েছিলেন বঙ্গভবনে। কিন্তু যখন বিদ্রোহী সেনারা স্লোগান দিতে দিতে বঙ্গভবনের কাছাকাছি পৌঁছে যায় তখন তিনি সঙ্গীদের নিয়ে দেয়াল টপকে পালিয়ে যান। এতে তার পা ভেঙ্গে যায় এবং পরে ধরা পড়েন। তার জায়গা হয় সামরিক হাসপাতালে। অবশ্য তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।
.
এর আগে ৬ নভেম্বর ভোর রাতে গৃহবন্দী জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করতে যায় বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুকের ল্যান্সার বাহিনীর একটি দল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার অন্যতম ঘাতক ল্যান্সার মহিউদ্দিন ছিলোএই দলের নেতৃত্বে। তারা জিয়াকে মুক্ত করে নিয়ে আসে কর্নেল রশিদের দুই নম্বর অ্যাটিলারি রেজিমেন্টের দপ্তরে।
.
গোলাম মুরশিদ আরো বলেন, মুক্তি পেয়েই জিয়াউর রহমান সদ্য নিযুক্ত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মোহামস্মদ সায়েমের অনুমতি ব্যতিরেকে বেতারে ভাষণ দিতে চলে যান। ’৭১-এর ২৭ মার্চের মতোই সংক্ষিপ্ত ঘোষণা দিয়ে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দাবি করেন। পরে অবশ্য পদবী বদলিয়ে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হয়েছিলেন।

.........................................
৩০বছর পর চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরে যেসব চুক্তি ও সমঝোতা হয়েছে
---------------------
চারটি অর্থনৈতিক চুক্তি সই :
=========================
১.পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ
্র নির্মাণ।
২. চীনের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল।
৩.ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে প্রশস্তকরণ প্রকল্প।
৪.ব্রডকাস্টিং লাইসেন্স প্রটোকল চুক্তি।
.
এছাড়া দ্বিস্তরের পাইপলাইন-সমৃদ্ধ পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা এবং ডিপিডিসি এলাকা ও পাঁচটি টেলিভিশন স্টেশনের মধ্যে পাওয়ার সিস্টেম বর্ধিতকরণ চুক্তি।
সই হওয়া দুটি রূপরেখা চুক্তি হলো কর্ণফুলী নদীর নিচে একাধিক লেনের টানেল নির্মাণ ও দাশেরকান্দিতে সাগরকেন্দ্রিক ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। এ দুটি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য চারটি পৃথক ঋণচুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
.
সফরে উল্লেখযোগ্য সমঝোতা স্মারকগুলো হলো :
.
১. দুর্যোগ মোকাবিলা ও হ্রাসকরণ।
২. সেতু নির্মাণ।
৩. বিনিয়োগ ও উৎপাদন সক্ষমতা সহযোগিতা।
৪. বাংলাদেশ-চীন মুক্তবাণিজ্য চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই।
৫. সামুদ্রিক সহযোগিতা।
৬. দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা।
৭. জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা।
৮. জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহযোগিতা।
৯. ইনফরমেশন সিল্ক রোড।
১০. তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সহযোগিতা।
১১. সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা সহযোগিতা।
এই সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা প্রেসিডেন্ট যৌথভাবে ছয়টি প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেন।
,.
প্রকল্পগুলো হলো :
.
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইনস্টিটিউট স্থাপন।
২. কর্ণফুলী নদীর নিচে একাধিক লেনের টানেল নির্মাণ।
৩. পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।
৪. চার স্তরের জাতীয় তথ্যভান্ডার।
৫. চট্টগ্রামে ১৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ।
৬. শাহজালাল সার কারখানা নির্মাণ প্রকল্প।

প্রশ্ন : সম্প্রতি ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ' তিন শুন্য ' নামক একটি তত্ত্ব দিয়েছেন যা বিশ্বের শান্তি আনয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। । এই ‘তিন শুন্য’ কী?
= ড. ইউনূসের ‘তিন শুন্য’ হলো
১। শুন্য দারিদ্র্য,
২। শুন্য বেকারত্ব ও
৩। শুন্য নিট কার্বন নিঃসরণ।
----------
=====================
• ISIL-Islamic State of Iraq and the Levant
• ISIS-Islamic State of Iraq and al-Sham
• ISI-Islamic State of Iraq
• IS-Islamic Stateline ..............................................
সিরিয়ার আইএসকে (ইসলামিক স্টেট) উত্খাত করার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চাইলেই আমেরিকার সেনাবাহিনী কর্তৃক স্থল অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন , কিন্তু একবার নিয়েও পরে আবার পিছু হটেছেন। কেন?
.
. উত্তরে সহায়ক
.
স্থল অভিযানের সফলতার চাইতে তার পরিণতি নিয়েই আমেরিকান বোদ্ধাগণসহ বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ শঙ্কিত। কারণ
.
প্রথমত, এর ফলে সিরিয়ার বেসামরিক লোকজনের হতাহতের সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে মহা মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে, যা সামাল দেওয়ার সক্ষমতা জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেই।
.
দ্বিতীয়ত, সিরিয়ার মরুভূমিতে আমেরিকার সেনাবাহিনীর জন্য স্থল অভিযান আরেকটি ভিয়েতনাম হতে পারে। সেটা হলে আমেরিকান সৈন্যদের লাশ যখন লাইন ধরে দেশের মাটিতে পৌঁছাবে, তখন আমেরিকার জনগণের সমস্ত মোহ ভেঙে যাবে। তখন প্রেসিডেন্টকে তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
.
তৃতীয়ত, রিপাবলিকান দলের মৌলিক নীতির (যা প্রকৃতপক্ষে আমেরিকার সকল দলেরই নীতি) অনুকরণে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার আধিপত্য এবং ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে জুনিয়র বুশের প্রেসিডেন্টের আমলে ইরাকের সাদ্দাম হোসেন, লিবিয়ার গাদ্দাফি ও সিরিয়ার আসাদকে ক্ষমতা থেকে উত্খাত করাসহ ইরানকে শায়েস্তা করার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বুশ একবার বলেছিলেন, এরা হলো শয়তানের অক্ষ শক্তি। সাদ্দাম, গাদ্দাফিকে এ পর্যন্ত উত্খাত করা গেলেও রাশিয়ার প্রবল বাধার কারণে সিরিয়ার আসাদকে এখনো হটাতে পারেনি। এখন আইএসকে পরাজিত করতে চাইলে রাশিয়ার আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব না। আবার রাশিয়ার সহযোগিতা পেতে চাইলে আসাদকে তাদের মেনে নিতে হবে, যা রিপাবলিকান দলের সিনিয়র নীতি নির্ধারকগণ মেনে নিবেন বলে মনে হয় না। কারণ এটা হবে রিপাবলিকানদের জন্য মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক নীতির ফান্ডামেন্টাল শিফট।
ট্রাম্পের বিস্ময়কর বিজয় এবং প্রতিক্রিয়া
==================================
সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিস্ময়কর বিজয় অর্জন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় সমস্ত জনমত জরিপ, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভবিষ্যত্ বাণী এবং গণকদের গণনা মিথ্যা প্রমাণ করে তিনি এই বিজয় অর্জন করলেন। এ বিজয়ের মাধ্যমে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। রিপাবলিকানরা বারাক ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদ পূরণের পর ক্ষমতায় আসলেন। এই দীর্ঘ আট বছরে অবশ্য রিপাবলিকানরা কংগ্রেসে তাদের প্রাধান্য বজায় রেখে চলছিলেন। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী হিলারি ক্লিনটন ২২৮ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৯০ ভোট পেয়ে নিশ্চিত বিজয়ের পথে এগিয়ে গেলেন। শুধু হোয়াইট হাউজ নয়, এই নির্বাচনী জোয়ারে রিপাবলিকান পার্টি কংগ্রেসের উভয় কক্ষে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পেরেছে। প্রাপ্ত হিসেব অনুসারে সিনেটে ৫১-৪৭ এবং প্রতিনিধি পরিষদে ২৩৮-১৯৩ আসনের ব্যবধানে রিপাবলিকান দল নিজেদের নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে মার্কিন প্রশাসনের দু্ই প্রধান অঙ্গ নির্বাহী এবং আইন- উভয় বিভাগের উপর একই দলের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলো। মার্কিন সংবিধানে যে ‘চেক এন্ড ব্যালেন্স’ তথা ভারসাম্য বিধানের ব্যবস্থা রয়েছে তা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।
এটি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত আদমশুমারী অনুযায়ী বিভাজিত ‘নির্বাচকমণ্ডলী’ অনুযায়ী এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী ৫৩৮ টি নির্বাচকমণ্ডলীতে বিভক্ত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিশ্চিত জয়ের জন্য ২৭০ টি নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট প্রয়োজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের নির্বাচন পরিচালনার ব্যবস্থাদি বর্ণিত আছে। যদিও সংবিধানে দলীয় ব্যবস্থার কোনো উল্লেখ নেই তবুও নির্বাচন ব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রধানত ‘দ্বি-দলীয় ব্যবস্থায়’ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যদিও বহু দলীয় অবস্থান রয়েছে, কার্যত দুটো প্রধান দল রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনা করে আসছে। এই দুটো দল হচ্ছে- ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান পার্টি। এবারে রিপাবলিকান প্রার্থী ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজনীতিতে তিনি নবাগত। একজন ধনকুবের এবং রিয়ালিটি টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাঁর পরিচিতি ব্যাপক। পূর্বে তিনি কোনো সিনেটর বা প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ছিলেন না। ২০১৬ সালের ১৯ শে জুলাই রিপাবলিকানপার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি চূড়ান্ত মনোনয়ন লাভ করেন। বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদ টেক্সাস সিনেটর টেড ক্রজ, ওহিও গভর্নর জন কেশিক, ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুরিও এবং অন্য প্রার্থীদের তিনি পরাজিত করেন। দুষ্টু লোকেরা বলে তার এ বিজয়ের পিছনে অর্থবিত্তই প্রধান অনুঘটক ছিল।
অপরদিকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী ছিলেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিল্টনের স্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই ছিলেন প্রথম নারী প্রার্থী। বিগত ২৬ শে জুলাই তিনি চূড়ান্তভাবে ডেমোক্রেটিক পার্টির চূড়ান্ত মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি ভারমন্ড সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এবং অন্য প্রার্থীদের পরাজিত করে প্রার্থিতা অর্জন করেন। তাঁর প্রার্থিতার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের জনপ্রিয়তা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার কার্যক্রম নিঃসন্দেহে কার্যকর ছিল। নারী হিসেবে মার্কিন প্রগতিশীল সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা প্রাথমিকভাবে যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। কিন্তু অবশেষে ‘নারীত্বই’ তার পরাজয়ের কারণ হলো কি না তা এখন বিবেচ্য বিষয়। বিস্ময়ের ব্যাপার যে মার্কিন সমাজকে ‘মুক্তসমাজ’ বলা হলেও তারা সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী ব্যক্তিকে নিরঙ্কুশ পৌরুষদীপ্ত এবং নিষ্কলুষ দেখতে চায়। প্রথমদিকে ট্রাম্পের নারী কেলেঙ্কারি তার জনপ্রিয়তায় ধস নামিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে হিলারির নারীত্ব হয়ত তার প্রতিপক্ষের বদনামকে ঢেকে দিয়েছে। জনমত সব জায়গায় সকল রাষ্ট্রেই একটি সংবেদনশীল বিষয়। একটি সেন্টিমেন্ট একটি নিশ্চিত বিজয়কেও যে পরাজয়ে রূপান্তর করতে পারে ট্রাম্পের বিজয় তার একটি বড় প্রমাণ। হিলরির অতি উচ্চ বিশ্বাস এবং অতি উদার মার্কিন গণমাধ্যম তাকে অতি উচ্চ জনপ্রিয়তা দিলেও বাস্তবতার সাথে তার সঙ্গতি ছিল সামান্যই। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকার কারণে একটি জনবিচ্ছন্নতা বা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল হয়তো।
মূলত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থিতা, বক্তব্য এবং আচরণের কারণে এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটি বিশেষ তাত্পর্য অর্জন করে। তিনি যেহেতু একজন পেশাদার রাজনীতিবিদ নন এবং অতিতের কোনো অভিজ্ঞতাই তার নেই সে জন্য মার্কিন পরিশীলিত সমাজে তাকে নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। তিনি আদৌ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদার পদে আসীন হওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি নন বলে মন্তব্য করা হয়। তিনি চরমপন্থি এবং রক্ষণশীল বক্তব্য দিয়েও বিতর্কিত হন। তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত গুরুতর অভিযোগ ছিল তাহলো
১. ফেডারেল ট্যাক্স ফাঁকি
২. নারী কেলেঙ্কারি
৩. অমার্জিত আচরণ
৪. অসাংবিধানিক কথাবার্তা
৫. বাগাড়ম্বরতা।
সবচেয়ে আলোড়িত এবং আলোচিত বক্তব্য যেটি- তাঁর দৃশ্যত জনমত বিপক্ষে যাওয়া এবং কার্যত অদৃশ্যভাবে বিজয়ের কারণ, সেটি হলো
- অভিবাসী বিরোধী কঠোর বক্তব্য। যেমন তিনি বলেছিলেন,
ক. মেক্সিকো-মার্কিন সীমান্তে দেয়াল তুলবেন,
খ. মুসলমানদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দিবেন না,
গ. কৃষ্ণাঙ্গদের সম্পর্কে অযাচিত মন্তব্য।
তিনি পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে এমন সব মন্তব্য করেন যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুসৃত পররাষ্ট্রনীতির পরিপূরক নয়। যেমন
রুশ ফেডারেশনের সাথে মৈত্রীর কথা বলা, ন্যাটোকে অকার্যকর
এবং সিরিয়ায় অনুসৃত মার্কিন নীতির বিরোধিতা করা।
আরো আছে
অকূটনৈতিক ভাষায় মুসলমানদের প্রতি অন্যায্য মন্তব্য করা।
প্রকাশ্যে হিন্দু মন্দিরে গিয়ে সমর্থন কামনা।
এই নির্বাচনে এ ধরনের মন্তব্য অভিবাসীদের বিশেষত মেক্সিকো থেকে আগত লক্ষ লক্ষ মার্কিন নাগরিককে আহত করেছে। তার কারণ মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে একটি অভিবাসীদের দেশ। যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসীদের ক্ষেত্রে চরমপন্থার কথা বললেন তখন অপেক্ষাকৃত পুরানো ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত প্রবীণ অভিবাসীরা খুশিই হলেন। যতোই অভিবাসীরা, কৃষ্ণাঙ্গরা হিলারি সম্পর্কে উত্সাহ দেখিয়েছে, ততোই উদ্বিগ্ন হয়েছে মার্কিন ঐতিহ্যবাহী নাগরিক সম্প্রদায়। পাশ্চাত্য ভদ্রতা অনুযায়ী মার্কিন এসব নাগরিকরা দৃশ্যত বিরোধিতাকে হয়তো অসৌজন্যমূলক মনে করেছেন। কিন্তু শেষ সময়ে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ক্ষোভ ও ক্রোধ প্রকাশ করেছেন। এমন সব অঙ্গ রাজ্য রয়েছে যেখানে দৃশ্যত হিলারির পক্ষ ভারী ছিল, যেমন ফ্লোরিডা, ওহাইও এবং নর্থ ক্যারোলিনা। এসব রাজ্যে রিপাবলিকানদের অতীতে প্রাধান্য থাকলেও এবারে মনে হচ্ছিল সেখানে ডেমোক্রেটরা ভালো করবে। উল্লেখ্য যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিভাজিত ভোটে নির্বাচকমণ্ডলীর প্রাধান্য ছিল। আর মনে রাখার কথা যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী যে রাজ্যে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গরিষ্ঠ ভোট পাবেন তিনি ঐ রাজ্যের সব ইলেক্ট্রোরাল ভোট পাবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিস্ময়কর বিজয় গোটা পৃথিবীকে অবাক করেছে। নির্বাচনের পূর্বদিনেও আঁচ করা যায়নি যে-
১. রক্ষণশীল, শ্বেতকায় এবং প্রবীণ নাগরিকবৃন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্য হারানোর ভয়ে ভিতরে ভিতরে এতো ক্ষোভ জমা করে রেখেছিলেন।
২. যখন এফবিআই নির্বাচনের পূর্বক্ষণে হিলারি ক্লিন্টনের ই-মেইল ফাঁস করে বেফাঁস কথা বলে তখনই বোঝা যাচ্ছিল একটি বিশেষ মহল হিলারি ক্লিন্টিনকে কুপোকাত করার জন্যে ভিতরে ভিতরে সক্রিয় ছিল। সম্ভবত ঠেলায় পড়ে শেষমুহূর্তে ই-মেইল অভিযোগ প্রত্যাহার করলেও, সে ক্ষত মেরামত করা হিলারির জন্যে সম্ভব হয়নি।
৩. নির্বাচনের তিনদিন আগে আবারও এফবিআই এর বরাত দিয়ে বলা হচ্ছিল যে নির্বাচনের দিন‘আল-কায়দা’ হামলা করতে পারে। দৃশ্যত মার্কিন নাগরিকদের ভয় দেখানোর জন্য- এটি ছিল ক্লিন্টন বিরোধী শিবিরের একটি উদ্দেশ্যমূলক ‘প্রতারণা-প্রচারণা’। স্মরণ করা যেতে পারে, যে সেবারে জুনিয়র বুশের সময়ও আল-কায়দার তরফ থেকে তথাকথিত ভিডিও টেপ প্রচার করে মার্কিন জনমতকে পক্ষে নিতে পেরেছিল রিপাবলিকানরা।
৪. আট বছরের দীর্ঘ সময় ধরে রিপাবলিকানরা ক্ষমতার বাইরে ছিল। তাদের নেতা-কর্মীরা নিশ্চয়ই শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পের উপর তাদের রাগ অভিমান ঝেড়ে ফেলে দিয়ে শুধুমাত্র ‘দলীয় স্বার্থে এবং দলীয় বুঝে’ ট্রাম্পকে তাঁর ট্রাম্পকার্ড দিতে সাহায্য করেছে। দেখা গেছে রিপাবলিকান শীর্ষ নেতারা প্রথম দিকে ট্রাম্পকে বর্জন করলেও অবশেষে ভোটটি ঠিক জায়গা মতোই দিয়েছেন। আমাদের দেশে যেমন বিদ্রোহী প্রার্থী প্রাথমিকভাবে পাত্তা পেলেও অবশেষে দলের চাপ এবং নিজের মনের চাপে দলীয় প্রতীকেই ভোট দিয়ে দেয়- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ঘটনা ঘটেছে তেমনই।
৫. মার্কিন রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিতরের খবর যারা রাখেন তারা ভালো করেই জানেন জনমতের অদৃশ্যে একটি কায়েমী স্বার্থবাদ সেখানে জেঁকে আছে। তাদের হাতে মার্কিন অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং প্রচার মাধ্যম। এটা হচ্ছে ইসরাইলি লবি। ইজরাইলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর পরই ডোনাল্ডকে তাদের বিশ্বস্ত বন্ধু বলে অভিহিত করেছেন। প্রচলিত ধারণাটি এ রকম যে,‘ক্ষমতায় যেতে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে’ তারা একটি অনতিক্রম্য শক্তি। সম্ভবত হিলারি ক্লিন্টন তার উদার পররাষ্ট্রনীতির কারণে তাদের আস্থা হারিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, তীব্র ইসরাইলি বিরোধিতার মুখে হিলারি ক্লিন্টন অবশেষে ইরানের সাথে শক্তি প্রয়োগের পরিবর্তে একটি কূটনৈতিক বিজয় অর্জন করেছিলেন।
৬. সবাই খবর রাখে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘কর্পোরেটইজম’ দ্বারা পরিচালিত একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান আয়ের উত্স সমরাস্ত্র ব্যবসা ইত্যাদি। সম্ভবত মিলিটারী ‘কমপ্লেক্স কর্পোরেটইজম’ হিলারি অনুসৃত উদারনীতির সহায়ক ছিল না। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার গৌরব ফিরিয়ে আনার যে শ্লোগান দিয়েছেন তা এই কর্পোরেটইজমকে উত্সাহিত করে থাকবে।
৭. দুর্বল হয়ে যাওয়া মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এবং বেকার জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিম্নমধ্যবিত্ত এবং স্বল্প শিক্ষিত বেকারদের ট্রাম্পকে ভোট দিতে উত্সাহিত করে থাকবে।
৮. ডোনাল্ড বিশ্বায়নের মাধ্যমে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে যাওয়া মার্কিন পুঁজি তথা বিনিয়োগকে নিজ দেশে কেন্দ্রীভূত করার মাধ্যমে অর্থনীতিকে শক্ত করার পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন। বড় বড় ধনীদের বিষয়টি বিব্রতকর হলেও বঞ্চিত মার্কিন জনগোষ্ঠীকে এ ঘোষণা হয়ত উত্সাহিত করেছে।
.
ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর যেখানে আনন্দ বয়ে যাওয়ার কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র, সেখানে নিরানন্দের হাওয়া। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী অন্তত ৩৪টি শহরে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে। তাদের ভাষা ছিল ‘ট্রাম্প আমাদের প্রেসিডেন্ট নয়’। ক্যালিফোর্নিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রকাশ ঘটেছে। নিঃসন্দেহে অভিবাসী সকলে আতঙ্কের মধ্যে আছেন। এর মধ্যেই কানাডা এবং নিউজিল্যান্ডে অভিবাসীদের অনেক আবেদন জমা পড়েছে। গোটা বিশ্বে মুসলমানদের প্রতি তার অন্যায্য উক্তির কারণে হাতাশা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যে সংবাদ মাধ্যম তাকে অবনমিত করেছে, তারা এখন দুঃসংবাদের কথা ভাবছে। ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর পরই বিশ্ব বাজারে শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে। এটা অবশ্যই একটি সাময়িক ব্যাপার। বিধি মোতাবেক তিনি হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করবেন ২০ জানুয়ারি ২০১৭। ইতোমধ্যে ওবামার সাথে তাঁর নরম-গরম কথা হয়েছে। হিলারি ক্লিন্টন ইতোমধ্যেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ট্রাম্পকে বুঝতে আমাদের আরও কিছু সময় লাগবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। মার্কিন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি হয়েছে এই নির্বাচনে। গণতন্ত্রের এটাই মাধুর্য যে, অতি সন্তর্পণে অনায়াসে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে মানুষ ‘ব্যালট বিপ্লব’ ঘটাতে পারে। নিঃসন্দেহে ডোনাল্ডের পক্ষে মার্কিন জনগণের এটি একটি ‘বিস্ময়কর ব্যালট বিপ্লব’। আবারও প্রমাণ হলো জনগণ-ই ক্ষমতার উত্স। আমরা মার্কিন জনগণের এই সদিচ্ছা এবং সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ‘জয়তু ডোনাল্ড ট্রাম্প’!!
///
.ড. আবদুল লতিফ মাসুম
অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Source: The Daily Ittefaq,১৫ নভেম্বর, ২০১৬ ই

No comments:

Post a Comment